জুন ২৮, ২০২০
সাতক্ষীরায় বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা: বাড়ছে মৃত্যুও
মাজহারুল ইসলাম : সাতক্ষীরায় হুহু করে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তের পাশাপাশি বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গতকাল রবিাবর করেনার উপসর্গ নিয়ে এক জনসহ জেলায় মেট ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের অসচেতনতা আর প্রশাসনিক কঠোরতা শিথিল হওয়ার কারণেই জেলায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে বলে মনে করছেন জেলার সচেতন মহল। স্বাস্থ্য ঝুঁকির তোয়াক্কা না করে খোলামেলা চলতে থাকলে জেলায় করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন অনেকেই। ‘জেলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে তারা মত প্রকাশ করেন। করোনার বিস্তার রোধে এখনই কঠোর অবস্থানে যাওয়া জরুরী হয়ে পড়েছে’। এদিকে রবিবার (২৮ জুন) সকালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টার থেকে পাওয়া নমুনা রিপোর্টে সাতক্ষীরা জেলায় ১৫ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার স্বাস্থ্য বিভাগ। তাদের মধ্যে ২ জন মারা গেছেন। যাদের নাম রোববার করোনা পজিটিভের তালিকায় এসেছে। করোনা ভাইরাসে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা কাজী আব্দুল মতিন(৮০) এবং তালা উপজেলার বারুইহাটি এলাকার বাসিন্দা বজলুর রহমান(৪৮)। এর আগে জেলায় করোনায় প্রথম মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তি দেবহাটা উপজেলার রতেœশ্বরপুর এলাকায় অনিল বিশ^াস (৭০)। মৃত্যুর পর নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হলে গত শুক্রবার তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা জেলায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হলেন, তালা উপজেলার জি এন মাসুদুর রহমান (২০), দেলোয়ার হোসাইন(৪৭), মো. হাফিজুর রহমান (৫৮), ডা. রাজিব সরদার (৩৬), আব্দুল মজিদ মোল্ল্যা (৫৮), সাতক্ষীরা সদর উপজেলার এস কে ইব্রাহিম(২৩), সকিনা খাতুন(৭০), আখি (২৫), ইকবল (৪১), দেবহাটা উপজেলার চন্দ্র শেখর (৫৫), ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মির্জা রজব আলী (৫৫), রোকসানা(২২) ও মাগুরা ইউনিয়নের মতাসিন বিল্লাহ(৪০)। এ নিয়ে সাতক্ষীরা জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১শ’ ৬৭ জনে এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ জনে। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত সরকার জানান, ‘করোনা প্রতিরোধে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ যথেষ্ট কাজ করছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা নিয়মিত সেবা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া এবং বাড়িতেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচেতন হয়ে চলাফেরা করার আহŸান করা হচ্ছে’। তিনি আরও জানান, ‘সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রবণতা কমে যাচ্ছে। বিশেষ করে হাটে-বাজারে ও রাস্তা-ঘাটে এবং চায়ের দোকানে মানুষের মধ্যে সামাজিক দুরত্ব দেখা যাচ্ছে না। করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাটাই অতি জরুরী’। তবে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের বাসাবড়িসহ আশপাশের বাড়িও লকডাউন করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর প্রতি সবাইকে মানবিক আচরন করার কথাও বলেন এই কর্মকর্তা। 8,471,525 total views, 3,141 views today |
|
|
|